শিরোনাম
Passenger Voice | ০৩:০৩ পিএম, ২০২৪-০৩-৩০
আগামী ১০ এপ্রিলকে ঈদের দিন ধরে গত ২৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ছয় দিনের মধ্যে শুক্রবার (২৯ মার্চ) রেলের ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপে সর্বোচ্চ হিট করেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। এদিন ঢাকা থেকে ৩৩ হাজার ৫০০টি ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। টিকিট বিক্রির প্রথম ৩০ মিনিটেই অনলাইন অথবা অ্যাপে টিকিট কাটার চেষ্টায় দুই কোটি ৭২ লাখ বার হিট করেছেন গ্রাহকরা। আর সারাদিনে তা চার কোটির বেশি বার। এতে গ্রাহকদের অন্তত ৪০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার প্রতি গ্রাহক টিকিট কাটতে গিয়ে ন্যূনতম ১০ টাকা খরচ করেছেন। তবুও ৯৯ শতাংশ গ্রাহক টিকিট পাননি। সেই হিসেবে এদিন টিকিট কাটতে যেয়ে গ্রাহকদের অন্তত ৪০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। যদিও গ্রাহকদের দাবি প্রতিবার টিকিট কাটার চেষ্টায় ২০ টাকা করে ৮০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
তবে এ সময় গড়ে প্রতি টিকিট ৫০০ টাকা ধরে টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ের আয় মাত্র ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে যে ১০ হাজার গ্রাহক সাড়ে ৩৩ হাজার টিকিট নিতে সক্ষম হয়েছেন তাদেরও টিকিটপ্রতি অনলাইন সার্ভিস চার্জ বাবদ অতিরিক্ত ২০ টাকা খরচ হয়েছে।
এদিন সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের মোট ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট ছাড়া হয়। এর মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায় ৯৫ শতাংশ টিকিট। এদিকে দুপুর ২টায় ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিটসহ ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিট ছাড়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে। মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে এসি চেয়ার, কেবিন, নন-এসি চেয়ার ও এসি-চেয়ারের টিকিটও শেষ হয়ে যায়। তার পরও লাখো মানুষ অনলাইনে টিকিটের জন্য অ্যাপে প্রবেশ করেন।
জনগণের টাকা লোকসান এবং সরকারি আয় কমার কারণ হিসেবে টিকিট বিক্রির পুরো বিষয়টি বেসরকারি খাতে দেওয়াকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের এত উন্নয়ন ও এত সক্ষমতা থাকার পরও টিকিট বিক্রয়ের বিষয়টি বেসরকারি খাতকে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজস্ব আয় ব্যক্তি পকেটে চলে যাচ্ছে, গ্রাহকেরও লোকসান হচ্ছে।
রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, টিকিট বিক্রয়ের স্থান থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছুই রেলের, সরকার চাইলেই টিকিট বিক্রয়ের পুরো বিষয়টা রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.